ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫ , ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
হিজাব বিতর্কে শিক্ষক বরখাস্ত উত্তাল ভিকারুননিসা আজ জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ মোট ভোটার ১২ কোটি ৬১ লাখ ডাকসু নির্বাচনে প্রচারণায় উৎসবমুখর ঢাবি ক্যাম্পাস প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের উপর সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ গাজীপুরে বিএনপি নেতার বাড়িতে ডাকাতি জেনেভা ক্যাম্পে সেনা অভিযানে গ্রেফতার ১১ গোবিন্দগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ ভূমিদস্যু ও জালিয়াতি সম্রাট আসলামের অবৈধ কর্মকাণ্ডে গোপন তদন্ত শুরু ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ১৭ বাংলাদেশি প্রধান আসামির মৃত্যুদণ্ড সহযোগীর পাঁচ বছর কারাদণ্ড জটিল রোগে ৩ লাখ টাকা পাবেন সরকারি কর্মচারীরা আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ট্রাইব্যুনালের বিচার শুরু কর্মস্থলে শ্রমিকের মৃত্যু কমছে না আমতলীতে যুবদল নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে ও ভিত্তিহীন বানোয়াট সংবাদ প্রকাশে নিন্দা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন যুবদল নেতা আমতলীতে প্রতিবন্ধীর জমি দখলের পায়তারা,সালিশ বৈঠকে বসে মারামারির অভিযোগ উঠেছে ফরিদপুরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত নিয়মিত মাসোহারা নিচ্ছে পুলিশ ভিকারুননিসায় হিজাবকাণ্ড অভিযুক্ত সেই শিক্ষিকা বরখাস্ত প্রণোদনার বীজ আমদানিতে অমিত-বঙ্গ সিন্ডিকেট বহাল ৩০৯ আবেদনের নিষ্পত্তি

শাহবাগ ব্লকেডে ভোগান্তিতে মানুষ

  • আপলোড সময় : ২৭-০৮-২০২৫ ০৫:২৮:৩৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৭-০৮-২০২৫ ০৫:২৮:৩৮ অপরাহ্ন
শাহবাগ ব্লকেডে ভোগান্তিতে মানুষ
দাবি আদায় কিংবা সরকারবিরোধী যেকোনো আন্দোলনে অবরোধ-ঘেরাও এবং ব্লকেডে সবার পছন্দের স্থান রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক শাহবাগ মোড়। এই মোড়ের চারপাশে রয়েছে শাহবাগ জাদুঘর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি হাসপাতাল) সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। পাশেই অবস্থিত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক)। এসব কারণে প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করেন এই পথে। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবারও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও অনুষদগুলোর ব্লকেড কর্মসূচিও এর ব্যতিক্রম ছিল না। তবে এসব কর্মসূচি ও ব্লকেডে প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তিতে পড়েন এই সড়কে চলাচলরত লক্ষাধিক মানুষ। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও ব্লকেডের মুখে পড়ে অন্য পথে ঘুরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেক সময় সড়কের চারপাশে ব্যারিকেড দিয়ে রাখায় শাহবাগ, কাঁটাবন, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, মৎস্য ভবন মোড় ও শাহবাগ থানার সামনের সড়ক থেকে বিকল্প পথে যানবাহন ঘুরিয়ে দেয়া হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন জরুরি কাজে বের হওয়া মানুষ। বাধ্য হয়ে অনেককে পায়ে হেঁটে যেতে দেখা যায়। যদিও কেউ কেউ যাওয়ার চেষ্টা করছেন,কেউ আবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তর্কে জড়াচ্ছেন। দুই পক্ষ থেকেই আসছে নানা যুক্তি-বিশ্লেষণ। ভোগান্তির শিকার মানুষ জানাচ্ছেন তাঁদের করুণ অবস্থার কথা। শেষ পর্যন্ত বিকল্প পথেই ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। দুর্ভোগের বিষয়ে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় অন্তত ১২ থেকে ১৫ জন মানুষের। এ সময় তাঁরা ব্লকেডের সময়কার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। অফিস ফেরত কর্মকর্তা মাসুদ আহমেদ বলেন, দুই দিন পরপর কোনো না কোনো আন্দোলন হয় এই রাস্তায়। অফিস থেকে ফেরার পথেও শান্তিতে যেতে পারি না। আন্দোলন হলেই ক্লান্ত শরীরে হেঁটে হেঁটে বাসায় ফিরতে হয়। এদিন পিজি হাসপাতালে স্ত্রীকে নিয়ে এসেছেন আবিদুর রহমান। শাহবাগ মোড় বন্ধ থাকায় হেঁটে মৎস্য ভবনের দিকে রওনা হন তিনি। আবিদুর রহমান বলেন, এদিকে যান চলাচল বন্ধ। এমন হবে যদি জানতাম তাহলে এদিকে আসতাম না। রায়হান হোসেন বলেন, সায়েদাবাদ যাব। ঢাকায় একটা কাজে এসেছি, রাস্তা ঠিকমতো চিনি না। এখানে আসামাত্র দেখি বাস থেকে যাত্রী নামিয়ে দিয়েছে। এখন বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটে যাচ্ছি, সামনে বাস পাবো কিনা জানি না। এদিকে, বাসের টিকিটও কেটে ফেলেছি, সঠিক সময়ে বাস না ধরতে পারলে টাকাগুলোও লস হবে। দুর্ভোগে পড়া সিএনজিচালক মনসুর আলী বলেন, আমরা সিএনজি চালিয়ে টাকা আয় করি। শাহবাগ থেকেই বেশির ভাগ যাত্রী পাওয়া যায়, বিশেষ করে হাসপাতালের রোগী বহন করি। যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আজকে এক টাকাও আয় করতে পারিনি। গতকালও একই অবস্থা ছিল। এভাবে চললে পরিবার নিয়ে চলবো কীভাবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আইনজীবী বলেন, দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন হতেই পারে, তবে সেটা নির্দিষ্ট জায়গায়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা অফিস ঘেরাও করা যেতে পারে। কিন্তু এভাবে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করে মানুষের ভোগান্তি বাড়ানোর কোনো মানে হয় না। এ সময় সুপ্রিম কোর্টের স্টিকার লাগানো মোটরসাইকেলের দুই আরোহীকেও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়াতে দেখা যায়। তাঁরা বলেন,আমরাও একসময় ছাত্র ছিলাম, আমরাও আন্দোলন করেছি। কিন্তু কখনো মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করিনি। উবারচালক মো. আজমাইন বলেন, রাইড শেয়ার শেষ করে মোটরসাইকেলের তেল আনতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু রাস্তা বন্ধ থাকায় তেলও নিতে পারছি না, বাসায়ও ফিরতে পারছি না। বিকল্প পথে যে ঘুরে যাব, সেই পরিমাণ তেল মোটরসাইকেলে নেই। এক হালিম-ফুচকা বিক্রেতাকে আন্দোলনকারীদের অনুরোধ করতে দেখা যায়, মামা, আমাকে যেতে দেন না, আমি এই পাশেই যাব। তবে তাঁকে যেতে দেওয়া হয়নি। তবু বারবার তিনি আন্দোলনকারীদের কাছে অনুরোধ করতে থাকেন। তবে এ সময় অসুস্থ রোগীবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সকে ছেড়ে দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। শাহীন আলম নামের ক্ষুব্ধ এক যাত্রী বলেন, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন আমার যাতায়াত করা লাগে। প্রায় সময় এই সড়ক অবরোধ হয়। আন্দোলনের যৌক্তিকতা তো আছেই, তবে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগটিও দেখা উচিত। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী রোকনুজ্জামান রোকনকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে এবং তিন দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর শাহবাগে ব্লকেড ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বুয়েট, ব্র্যাক, বুটেক্সসহ প্রকৌশল অনুষদভুক্ত শিক্ষার্থীরা।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স